গত ৭ই মে দৈনিক যশোর পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে যত্রতত্র অটিস্টিক স্কুল প্রতিষ্ঠার হিড়িক,শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য তুঙ্গে রাজাকারের নামেও স্কুল, এই শিরোনামে যে সংবাদটি ছাপা হয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হhয়েছে। এই সব সংবাদের কোন ভিত্তি নেই। এই সংবাদ ছাপানোর আগে আমার সাথে সাংবাদিকের কোন সাক্ষাত হয়নি। আমার কতিপয় প্রতিপক্ষের প্রলোভনে মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদটি ছাপানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো আমি বা আমার পরিবারের কোন লোকজন কোনদিন রাজাকার কিংবা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলাম না। যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন আমি ৯ম নবম শ্রেণীতে পড়ি, বয়স ১৬-১৭ বছর। আমি আমার জীবদ্বশায় কখনো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যায়নি। আমি কর্মজীবনে এবং রাজনৈতিক জীবনে কখনো অসৎ উপায়ে কোন অর্থ উপার্জন করিনি। আমি ইতি পূর্বে হলিধানীসহ অত্র অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও শিক্ষানুরাগী লোকের সহযোগীতায় হলিধানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হলিধানী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোলা এবতেদায়ী মাদরাসা, হলিধানী আলিম মাদরাসা, দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের একমাত্র হলিধানী এতিম খানা ও হাফেজি মাদরাসা স্থাপন করেছি। এছাড়াও সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা যাতে স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি এবং প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে মোঃ আঃ রশিদ মিয়া প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়। যা এলাকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ জাগিয়েছে।
এছাড়াও আমাকে যারা রাজাকার বলে হেয় করার চেষ্টা করছে আমি তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চায়, আমি বা আমার পরিবারের কেউ কোনদিন রাজাকার ছিলাম না। যার প্রমান বিগত স্বাধীনতা সময় কালে বৃহত্তর ২নং হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল ওহেদ জোয়ার্দ্দার। তার দেওয়া প্রত্যায়ন পত্রে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে আব্দুর রশিদ মিয়া কোন দিন রাজাকার বা মুক্তিযোদ্ধের বিরোধী ছিলো না। হলিধানী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তৈয়ব আলী কার্ড নং ০৪০৯০১০০৩০ তার দেওয়া প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ আছে রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধের বিরোধী বা রাজাকার ছিলো না। এছাড়াও হলিধানী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমজাদ হোসেন কার্ড নং ৩৪০৯০১০৩৬০, নূর-ইসলাম কার্ড নং ০২৪১১ তাদের দেওয়া প্রত্যায়ন পত্রেও উল্লেখ আছে তিনি রাজাকার ছিলেন না। পাশ্ববর্তী কাবাশাটিয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাবুল হোসেন কার্ড নং ৩৮৬, মোঃ রফি উদ্দীন কার্ড নং ৩৮৫, মনোয়ার হোসেন কার্ড নং ৩২৫, আব্দুল রহিম কার্ড নং ৩৮২, সৈয়দ আলী বিশ্বাস কার্ড নং ০৪০৯০৬০০৫৯, সাগান্না ইউনিয়নের সাদেক আলী কার্ড নং ১১০৮১২, তোতা মিয়া কার্ড নং ০৪০৯০১০০৯২, এবং কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের মোঃ আবুল হোসেন কার্ড নং ০৪০৯০১০৮, কুদ্দুস কার্ড নং ০৪০৯০১০১০৪, মোঃ এ লতিফ ৯৮ গেজেট, শ্রী বসন্ত কুমার বিশ্বাস কার্ড নং ৪৮৫৬৮, আবুল হোসেন বিশ্বাস কার্ড নং ০৪০৯০১০১০৭ সবাই তাদের প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ করেন যে আব্দুর রশিদ মিয়া কখনো কোনদিন রাজাকার বা মুক্তিযোদ্ধার বিরোধীতা করেনি।
এছাড়াও বিজ্ঞ ঝিনাইদহ আদালতে ২৫/০৩/২০০৯ তারিখে তার বিরুদ্ধ করা এক মামলা যার নং ৭৯/০৯ পুলিশি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আব্দুর রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, এছাড়াও বিজ্ঞ আদালতে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণীত হয়েছে। চীফ জুডিঃ ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোঃ মাসুদুর রহমান ২২৭৮নং স্মারক মতে তদন্দ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায় নাই বলে মামলাটি নথি জাত করেন। এতে করে বোঝা যায় হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া কখনো কোনদিন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলো না। তিনি সবসময় মুক্তিযুদ্দের চেতনার পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথেই ছিলো। এবং বর্তমানেও সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হলিধানী ইউনিয়নের সভাপতি ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে। তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।